Posted by Unknown
Friday, July 19, 2013
0 comments
১৯ জুলাই ২০১৩ বিকাল ৩:০৪ মিনিট
০৯ রমজান
ঘটনা ঘটে গত কাল সন্ধ্যায়। অর্থাত্ ১৮ জুলাই ইফতারের পর পর। আমি তখন ইভেনিং ডিউটিতে, স্পেসিফিক বললে গাইনি ওটিতে। রাত আনুমানিক ৮ টা হবে সময়। একটা সিজারিয়ান সেকশন এ assist করছি। আমার মোবাইলে অনবরত কল এসেই যাচ্ছে। ধরতে পারছি না।
কাজ শেষ করে কল ব্যাক করলাম। রুমমেটের অস্থির কণ্ঠ। আরে আগুন লাগছে ৪০০৩ নম্বর রুমে। আমি থাকি ৪০০৭ এ। আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন এ যাত্রায়। আগুনে আসলেই অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। দুইটা ল্যাপটপ, একজনের সব বই পত্র পুড়ে গেছে। বিছানা পত্র সব পুড়ে ছাই। এত অল্প সময়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
১৯ জুলাই ২০১৩, সকাল ০৮:৫৭ মিনিট
০৯ রমজান
গত আড়াই বছর ধরে প্রায় নিয়মিত রাত জাগি। কতদিন যে সকালের সূর্য উঠতে দেখেছি তার ইয়ত্তা নাই। সকালের সূর্য দেখা কিন্তু যে সে কথা না। এটা দেখতে চাইলে ধৈর্য লাগে।
নাইট ডিউটি থেকে এসে নেট এ বসলাম। সারা রাত নেট চালানোর ইচ্ছা থাকলেও রাত পৌনে দুটোর দিকে চোখ দুটো বুজে এল প্রায়। ঝাঁপিয়ে পড়লাম বিছানায়। মাত্র ঘণ্টা খানেক ঘুমিয়েই উঠে পড়লাম। সেহরি করে নামায পড়ে ঘুমান আর হল না। বসে গেলাম নেট এ। ওয়েবসাইটের কাজ গুলো সেরে নিলাম। ডাইরি লিখলাম। ডাইরি লিখাটা কেমন যেন উপভোগ করতে শুরু করেছি। চালিয়ে যেতে চাই। লিখতে চাই প্রতিদিন। নাহ, আজকেই নেট এর কানেকশন বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হয়, আমাকেও আজ করতে হবে।
১৯ জুলাই ২০১৩, সকাল ৮:৩৮ মিনিট
০৯ রমজান
গতকাল ছিল বৃহষ্পতিবার। গাইনি ইউনিট-২ এর ভর্তির দিন। সকাল থেকেই নাকি খুব রোগীর চাপ। আমার ছিল সান্ধ্যকালীন ডিউটি। তড়িঘড়ি করে বেলা দুটো ত্রিশ মিনিটে রওয়ানা হলাম ওয়ার্ডের দিকে। ক্লাসে দেরিতে গেলেও ওয়ার্ডে লেট করেছি এমন নজির এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হয় নাই। পৌঁছাতে পৌঁছাতে পৌনে তিনটা।
ইভেনিং এ ছিল ইরানী আপুর ডিউটি। আপু লিখলাম যদিও, আমি সিনিয়র (সিএ/রেজিস্ট্রারদের) ম্যাডাম বলে ডাকতেই সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। ওটি তে ডাক পড়ল। ওই ধরা বাধা নিয়মে ওটির দায়িত্ব শেষ করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে এল। তার আগেই ইরানী আপু ইফতার কিনতে পাঠালেন পাপন নামের এক সহকর্মী কে। ইফতারে অনেক খেলাম। ওটি শেষ করে আসতে আসতে দেখি রাত প্রায় ৯ টা বাজে। লেবার রুমে নতুন রোগী এসেছে একজন। আমি রিসিভ করতে চলে গেলাম। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাম বাচ্চা হতে অনেক দেরি তখন। এই করতে করতে সাড়ে নয়টা বেজে গেল। রাতের শিফটের ডক্টর চলে এসেছে। আহ শান্তি।
হোস্টেলে ফিরে দেখি ক্যাডেট কলেজের সহপাঠী ফজলে রাব্বি আমার হোস্টেলের সামনে। ওকে রুমে নিয়ে আসলাম। গল্প গুজব করে আইসক্রিম খাইতে খাইতে ওকে বিদায় দিলাম। আরও একটা অর্ডিনারী দিন কেটে গেল। এভাবেই আয়ু কমছে প্রতিমূহুর্তে। ইশ! দিনগুলো যদি সব ভাল কাজে পার করতে পারতাম!