আরও একটি ইভেনিং ডিউটি শেষে!

১৯ জুলাই ২০১৩, সকাল ৮:৩৮ মিনিট
০৯ রমজান
গতকাল ছিল বৃহষ্পতিবার। গাইনি ইউনিট-২ এর ভর্তির দিন। সকাল থেকেই নাকি খুব রোগীর চাপ। আমার ছিল সান্ধ্যকালীন ডিউটি। তড়িঘড়ি করে বেলা দুটো ত্রিশ মিনিটে রওয়ানা হলাম ওয়ার্ডের দিকে। ক্লাসে দেরিতে গেলেও ওয়ার্ডে লেট করেছি এমন নজির এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হয় নাই। পৌঁছাতে পৌঁছাতে পৌনে তিনটা।

ইভেনিং এ ছিল ইরানী আপুর ডিউটি। আপু লিখলাম যদিও, আমি সিনিয়র (সিএ/রেজিস্ট্রারদের) ম্যাডাম বলে ডাকতেই সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। ওটি তে ডাক পড়ল। ওই ধরা বাধা নিয়মে ওটির দায়িত্ব শেষ করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে এল। তার আগেই ইরানী আপু ইফতার কিনতে পাঠালেন পাপন নামের এক সহকর্মী কে। ইফতারে অনেক খেলাম। ওটি শেষ করে আসতে আসতে দেখি রাত প্রায় ৯ টা বাজে। লেবার রুমে নতুন রোগী এসেছে একজন। আমি রিসিভ করতে চলে গেলাম। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাম বাচ্চা হতে অনেক দেরি তখন। এই করতে করতে সাড়ে নয়টা বেজে গেল। রাতের শিফটের ডক্টর চলে এসেছে। আহ শান্তি।

হোস্টেলে ফিরে দেখি ক্যাডেট কলেজের সহপাঠী ফজলে রাব্বি আমার হোস্টেলের সামনে। ওকে রুমে নিয়ে আসলাম। গল্প গুজব করে আইসক্রিম খাইতে খাইতে ওকে বিদায় দিলাম। আরও একটা অর্ডিনারী দিন কেটে গেল। এভাবেই আয়ু কমছে প্রতিমূহুর্তে। ইশ! দিনগুলো যদি সব ভাল কাজে পার করতে পারতাম!


0 comments:

Post a Comment