বাবা একটা বাচ্চা কিনতে পাওয়া যাবে?? ১০-১৫০০০ টাকা দেব??
১৫ জুলাই, বিকাল ২ টা, গাইনি ওটি
০৫ রমজান
অভাগীর নাম ইরানী। রামেক হাসপাতলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে মাসাধিককাল হতে। এর আগে দুটো বাচ্চা পেটে এসেছিল। একলাম্পসিয়া নামক জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দুটো বাচ্চাকেই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সিজারিয়ান সেকশন করে পৃথিবীতে আনা হয়। হায়! একটাও জীবিত থাকে নি।
আবারও সে গর্ভধারণ করেছিল মাতৃত্বের স্বাদ নেয়ার জন্য। বিধি বাম। আবারও একই পরিস্থিতি। মাত্র ৫ মাসের অন্তসত্বা সে। পেটে পানি এসেছে, ফুসফুসে পানি লেগেছে, কিডনীতেও সমস্যা। সেই পুরোনো রোগ।একই পরিণতি। বাই ল্যাটেরাল টিউবাল লাইগেশন করে দেয়া হল পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে। মা হওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল।
সিজারিয়ান ডেলিভারি করে বের করা হল ৬০০ গ্রামের এক অপরিপক্ব বাচ্চাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ পাখি উড়ে গেল ছোট্ট দেহটি থেকে।
আমি ওটি থেকে বাইরে বেরোতেই ইরানির মা আমার হাত ধরে কান্নাজড়িত কন্ঠে একটা বাচ্চা কিনে দেয়ার অনুরোধ করল। এতটা শকড আমি জীবনেও হইনি। আমি বললাম আমি তো এটা করতে পারবনা মা। আপনি ওয়ার্ডে খোঁজ নেন, কেউ বিক্রি করবে কিনা?
আমি শুধু ভাবলাম এই মেয়েটার ঘর টিকবে তো?? স্বামীর নাকি অনেক টাকা। তাকে বেশ ভাল মানুষ বলেই মনে হল।
দিন দিন বন্ধ্যাত্ব বেড়ে যাওয়ায় দত্তক নেয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। আল্লাহ সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
০৫ রমজান
অভাগীর নাম ইরানী। রামেক হাসপাতলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে মাসাধিককাল হতে। এর আগে দুটো বাচ্চা পেটে এসেছিল। একলাম্পসিয়া নামক জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দুটো বাচ্চাকেই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সিজারিয়ান সেকশন করে পৃথিবীতে আনা হয়। হায়! একটাও জীবিত থাকে নি।
আবারও সে গর্ভধারণ করেছিল মাতৃত্বের স্বাদ নেয়ার জন্য। বিধি বাম। আবারও একই পরিস্থিতি। মাত্র ৫ মাসের অন্তসত্বা সে। পেটে পানি এসেছে, ফুসফুসে পানি লেগেছে, কিডনীতেও সমস্যা। সেই পুরোনো রোগ।একই পরিণতি। বাই ল্যাটেরাল টিউবাল লাইগেশন করে দেয়া হল পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে। মা হওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল।
সিজারিয়ান ডেলিভারি করে বের করা হল ৬০০ গ্রামের এক অপরিপক্ব বাচ্চাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ পাখি উড়ে গেল ছোট্ট দেহটি থেকে।
আমি ওটি থেকে বাইরে বেরোতেই ইরানির মা আমার হাত ধরে কান্নাজড়িত কন্ঠে একটা বাচ্চা কিনে দেয়ার অনুরোধ করল। এতটা শকড আমি জীবনেও হইনি। আমি বললাম আমি তো এটা করতে পারবনা মা। আপনি ওয়ার্ডে খোঁজ নেন, কেউ বিক্রি করবে কিনা?
আমি শুধু ভাবলাম এই মেয়েটার ঘর টিকবে তো?? স্বামীর নাকি অনেক টাকা। তাকে বেশ ভাল মানুষ বলেই মনে হল।
দিন দিন বন্ধ্যাত্ব বেড়ে যাওয়ায় দত্তক নেয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। আল্লাহ সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
0 comments:
Post a Comment