টানা ১৮ ঘণ্টা ডিউটির পরে!!
১৮ জুলাই ২০১৩, সকল ১১ টা ২০ মিনিট
০৮ রমজান
লিখছি যখন তখন ডিউটি শেষ করে বেশ রেস্ট নিয়ে ফেলেছি। গত পরশু অর্থাত্ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার একটা রিপ্লেস নাইট ডিউটি তে গেলাম। গাইনি ওটিতে ডাক পড়ল। তিনটা সিজারিয়ান। একটাতে assist করলাম। স্কিন এ স্টিচ দেয়ার অনুমতি পেলাম।
রাতে আবার একটা Rupture Ectopic Pregnancy কেস আসল। কিছুক্ষণ পরেই রক্তের যোগাড় করে পেশেন্ট কে ওটি টেবিলে তোলা হল। অপারেশন শেষ হতে হতে সেহরির সময় হয়ে আসল। আমি এর মধ্যে কয়েকটা নরমাল ডেলিভারি করে ফেলেছি ওয়ার্ডএ।
সেহরি করে আবার NVD রুম এ দৌড়। কয়েক জনের একসাথে প্রসব বেদনা উঠেছে। ডেলিভারি করলাম দুটো। একটার episiotomy repair করলাম। সকাল হতে না হতেই ম্যাডাম এসে রাউন্ড এর তাগাদা দিলেন। বের হলাম রাউন্ড এ।
দেখতে দেখতে রাতের ১২ ঘণ্টা ডিউটি শেষ হয়ে গেল। মর্নিং শুরু হল। নতুন ম্যাডাম আসলেন। আবার রাউন্ড। গাইনি ওয়ার্ডে খালি রাউন্ড আর রাউন্ড।
ইতিমধ্যে একটা twin বেবী ওয়ালা গর্ভবতী মা আসলো। দুটোরিই ব্রীচ প্রেজেন্টেশন। সিজার করাতে চায়। সাথে লাইগেশন। ম্যাডাম কে বললাম। ওটি লিস্টে নাম তুললাম। নাম তুলে যেই না অন্য ওয়ার্ডে রাউন্ড এ গেছি, ফিরে এসে দেখি রোগী লাপাত্তা। দালালের পাল্লায় পরে ক্লিনিকে চলে গেছে।
বারবার অবাক হই। মাগনা চিকিতসা ভাল লাগে না কিছু পেশেন্ট এর। এত বার করে রাউন্ড হয়, এত যত্ন করে রোগী দেখি। এত ধৈর্য ধরে তাদের বুঝাই, তারা আমাদের বুঝেনা। বোঝে না রে বোঝে না।
আজ আবার ইভেনিং ডিউটি। দুপুর আড়াইটা থেকে। রেডি হচ্ছি। হাজার হলেও অ্যাডমিশন ইভনিং। একটু চাপ যায় বৈকি!!
০৮ রমজান
লিখছি যখন তখন ডিউটি শেষ করে বেশ রেস্ট নিয়ে ফেলেছি। গত পরশু অর্থাত্ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার একটা রিপ্লেস নাইট ডিউটি তে গেলাম। গাইনি ওটিতে ডাক পড়ল। তিনটা সিজারিয়ান। একটাতে assist করলাম। স্কিন এ স্টিচ দেয়ার অনুমতি পেলাম।
রাতে আবার একটা Rupture Ectopic Pregnancy কেস আসল। কিছুক্ষণ পরেই রক্তের যোগাড় করে পেশেন্ট কে ওটি টেবিলে তোলা হল। অপারেশন শেষ হতে হতে সেহরির সময় হয়ে আসল। আমি এর মধ্যে কয়েকটা নরমাল ডেলিভারি করে ফেলেছি ওয়ার্ডএ।
সেহরি করে আবার NVD রুম এ দৌড়। কয়েক জনের একসাথে প্রসব বেদনা উঠেছে। ডেলিভারি করলাম দুটো। একটার episiotomy repair করলাম। সকাল হতে না হতেই ম্যাডাম এসে রাউন্ড এর তাগাদা দিলেন। বের হলাম রাউন্ড এ।
দেখতে দেখতে রাতের ১২ ঘণ্টা ডিউটি শেষ হয়ে গেল। মর্নিং শুরু হল। নতুন ম্যাডাম আসলেন। আবার রাউন্ড। গাইনি ওয়ার্ডে খালি রাউন্ড আর রাউন্ড।
ইতিমধ্যে একটা twin বেবী ওয়ালা গর্ভবতী মা আসলো। দুটোরিই ব্রীচ প্রেজেন্টেশন। সিজার করাতে চায়। সাথে লাইগেশন। ম্যাডাম কে বললাম। ওটি লিস্টে নাম তুললাম। নাম তুলে যেই না অন্য ওয়ার্ডে রাউন্ড এ গেছি, ফিরে এসে দেখি রোগী লাপাত্তা। দালালের পাল্লায় পরে ক্লিনিকে চলে গেছে।
বারবার অবাক হই। মাগনা চিকিতসা ভাল লাগে না কিছু পেশেন্ট এর। এত বার করে রাউন্ড হয়, এত যত্ন করে রোগী দেখি। এত ধৈর্য ধরে তাদের বুঝাই, তারা আমাদের বুঝেনা। বোঝে না রে বোঝে না।
আজ আবার ইভেনিং ডিউটি। দুপুর আড়াইটা থেকে। রেডি হচ্ছি। হাজার হলেও অ্যাডমিশন ইভনিং। একটু চাপ যায় বৈকি!!
0 comments:
Post a Comment