একটি অন্ধকারময় অ্যাডমিশন নাইট!
২০ জুলাই ২০১৩, মঙ্গলবার, রাত ৯টা ৫৮মিনিট
গত পরশু অর্থাত্ রবিবার ছিল অ্যাডমিশন নাইট। আমরা ছিলাম পাঁচজন। সবাই কাজের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। রাতে রোগীর চাপ বেশ ভালই ছিল। কিছু আজব কিসিমের রোগীও পেলাম।
এক রোগীর লোক পুরুষ ডাক্তার দিয়ে রোগী দেখাবেন না। কী আর করা!! ভর্তির টিকেটের উপর বড় করে লিখে দিলাম Pt refused to see a male doctor.আর যায় কই! হাতে ধরে পায়ে পড়ে হলে রোগীকে দেখতেই হবে-এমন অবস্থা তৈরি করল রোগীর লোকজন।
এক রোগীর কাছ থেকে একটা পান চেয়ে খেলাম। স্বাদ খারাপ ছিল না। রোগীর লোকের গাইট থেকে জর্দা দেয়া পান মুখে পুরে চিবুতে চিবুতে রোগীর সাথে কথা বললে একটা ভাব আসে!! ফীলিংসটা খারাপ না। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
রাত চারটা কোনোমতে। হঠাত্ লাইট অফ। ফ্যান অফ। টিভি চলে। ওমা! একি ভুতুড়ে কান্ড। একটু পর সব নিভে গেল। হঠাত্অন্ধকার গ্রাস করে নিল রাতের কোলাহলকে। কিছু সময়ের জন্য। এর পর আবার চিত্কার চেচামেচি। কারেন্ট নাই কেন?? কখন আসবে??
এর মধ্যে এক রোগী আসল বাপ ময়ের অনেক আদরের ধন টাইপ এর। ছয় মাসেই ডেলিভারী হয়ে গেল। বাচ্চা জীবিত ছিল কিছুক্ষণ। রোগীর প্রলাপে অসহ্য হয়ে উঠেছিল রাতের পরিবেশ। হুদাই হুদাই যে কোনো পেশেন্ট এত বকতে পারে তা সেদিনই প্রথম দেখলাম। আমাকে কেউ দেখছে না কেন?তোমরা আমার কাছে নাই কেন? তোমরা এত কথা বল কেন?? আব্বু কই? আমার ফোন কই? এরূপ নানান প্রলাপে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠল। সকাল হতে তখনও ঢের বাকি ছিল।
এর মধ্যে ডেলিভারি রুম এ সব নতুন নতুন রোগীর আগমন ঘটে গেছে। ডেলিভারীও হয়ে গেল দুই তিনজনের। অন্ধকারের মধ্যেই এপিসিওটমি রিপেয়ার। মোবাইলের মৃদু আলোয় সব কিছু ভুতুড়ে লাগছিল। ওফ! কী যে অভিজ্ঞতা!!
গত পরশু অর্থাত্ রবিবার ছিল অ্যাডমিশন নাইট। আমরা ছিলাম পাঁচজন। সবাই কাজের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। রাতে রোগীর চাপ বেশ ভালই ছিল। কিছু আজব কিসিমের রোগীও পেলাম।
এক রোগীর লোক পুরুষ ডাক্তার দিয়ে রোগী দেখাবেন না। কী আর করা!! ভর্তির টিকেটের উপর বড় করে লিখে দিলাম Pt refused to see a male doctor.আর যায় কই! হাতে ধরে পায়ে পড়ে হলে রোগীকে দেখতেই হবে-এমন অবস্থা তৈরি করল রোগীর লোকজন।
এক রোগীর কাছ থেকে একটা পান চেয়ে খেলাম। স্বাদ খারাপ ছিল না। রোগীর লোকের গাইট থেকে জর্দা দেয়া পান মুখে পুরে চিবুতে চিবুতে রোগীর সাথে কথা বললে একটা ভাব আসে!! ফীলিংসটা খারাপ না। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
রাত চারটা কোনোমতে। হঠাত্ লাইট অফ। ফ্যান অফ। টিভি চলে। ওমা! একি ভুতুড়ে কান্ড। একটু পর সব নিভে গেল। হঠাত্অন্ধকার গ্রাস করে নিল রাতের কোলাহলকে। কিছু সময়ের জন্য। এর পর আবার চিত্কার চেচামেচি। কারেন্ট নাই কেন?? কখন আসবে??
এর মধ্যে এক রোগী আসল বাপ ময়ের অনেক আদরের ধন টাইপ এর। ছয় মাসেই ডেলিভারী হয়ে গেল। বাচ্চা জীবিত ছিল কিছুক্ষণ। রোগীর প্রলাপে অসহ্য হয়ে উঠেছিল রাতের পরিবেশ। হুদাই হুদাই যে কোনো পেশেন্ট এত বকতে পারে তা সেদিনই প্রথম দেখলাম। আমাকে কেউ দেখছে না কেন?তোমরা আমার কাছে নাই কেন? তোমরা এত কথা বল কেন?? আব্বু কই? আমার ফোন কই? এরূপ নানান প্রলাপে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠল। সকাল হতে তখনও ঢের বাকি ছিল।
এর মধ্যে ডেলিভারি রুম এ সব নতুন নতুন রোগীর আগমন ঘটে গেছে। ডেলিভারীও হয়ে গেল দুই তিনজনের। অন্ধকারের মধ্যেই এপিসিওটমি রিপেয়ার। মোবাইলের মৃদু আলোয় সব কিছু ভুতুড়ে লাগছিল। ওফ! কী যে অভিজ্ঞতা!!